Disappearance Day of Dhananjay Pandit Thakur
ধনঞ্জয় পণ্ডিত – মহান্ত বিলক্ষণ।
যাঁহার হৃদয়ে নিত্যানন্দ সৰ্ব্বক্ষণ।।
—(চৈঃ ভাঃ অন্ত্যঃ ৫/৭৩৩)
শ্রীমদ্ বৃন্দাবাদাস ঠাকুর এই বলে শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিতের মহিমা বর্ণন করেছেন। শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিতের শ্রীপাট শীতল গ্রামে অবস্থিত। এই গ্রাম বদ্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত। কেহ কেহ বলেন –ধনঞ্জয় পণ্ডিতের জন্ম হয়েছিল চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত জাড়গ্রামে। সেখান থেকে এসে শীতল গ্রামে বা সাঁচড়া পাঁচড়া গ্রামে ইনি শ্রীবিগ্রহ-সেবা প্রকাশ করেন।
নবদ্বীপে শ্রীমন্মহাপ্রভুর সংকীর্ত্তন-বিলাসে শ্রীধনঞ্জয় পণ্ডিত অবস্থান করতেন। তিনি শ্রীবৃন্দাবন ধাম থেকে ফিরে এসে জলন্দি নামক গ্রামেও শ্রীবিগ্রহ সেবা প্রকাশ করেছিলেন। বর্ত্তমান এ স্থানে শ্রীশ্রীগোপীনাথ, শ্রীশ্রীনিতাই গৌর ও শ্রীশ্রীদামোদর শালগ্রাম সেবিত হচ্ছেন। শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিতের কোন বংশধর ছিল না। শ্রীসঞ্জয় নামে তাঁর এক ভাই ছিলেন। তাঁর পুত্রের নাম—শ্রীরাম কানাই ঠাকুর। এঁর শ্রীপাট বর্ত্তমান-বোলপুরের সন্নিকট মুলুক গ্রামে আছে। কেহ কেহ বলেন সঞ্জয় শ্রীধনঞ্জয় পণ্ডিতের শিষ্য ছিলেন। শীতল গ্রামে এখন যারা সেবাইত আছেন তাঁরা শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিতের শিষ্য বংশধর। শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিতের এক শিষ্য শ্রীজীবন কৃষ্ণের স্থাপিত শ্রীশ্রীশ্যামসুন্দর জীউ বর্তমানে শ্রীগোপাল রায় চৌধুরীর ভবনে আছেন। শীতলগ্রামে শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিতের সমাধি মন্দির বর্ত্তমান। কার্ত্তিক শুক্লাষ্টমী তিথিতে শ্রীধনঞ্জয় পন্ডিত নিত্যলীলায় প্রবেশ করেন।