Disappearance Day of Srila Parameswari Das Thakur
শ্রীপরমেশ্বর বা শ্রীপরমেশ্বরী দাস ঠাকুর বৈদ্যকুলে আবির্ভূত হন। তাঁর শ্রীপাট ছিল আটপুরে: হাওড়া-আমতা রেল লাইনের চাপাডাঙ্গা শাখায় আটপুর স্টেশন। এ স্থানের পূর্ব নাম ছিল বিশাখালা। শ্রীপাটে শ্রীরাধা গোবিন্দদের বর্তমান আছেন। মন্দিরের সামনে জোড়া বকুল গাছ। এদের মধ্যস্থানে শ্রীপরমেশ্বরী ঠাকুরের সমাধি মন্দির।
শ্রীমদ কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী শ্রীনিত্যানন্দ শাখা বর্ণন করতে গিয়ে লিখেছেন—
পরমেশ্বরদাস নিত্যানন্দৈক-শরণ।
কৃষ্ণভক্তি পায় — তাঁরে যে করে স্মরণ।।
——(চৈঃ চঃ আদি ১১ (২৯)
শ্রীকবি কর্ণপুর গোস্বামী লিখেছেন—
“নাম্নাৰ্জ্জুনঃ সখা প্রাগ যো দাসঃ পরমেশ্বরঃ।”
শ্রীপরমেশ্বর দাস ঠাকুর পূর্ব্বে শ্রীকৃষ্ণের অর্জ্জন সখা নামক গোপ ছিলেন।
শ্রীবৃন্দাবন দাস ঠাকুর লিখেছেন—
নিত্যানন্দ জীবন পরমেশ্বরীদাস।
যাঁহার বিগ্রহে নিত্যানন্দের বিলাস।।
কৃষ্ণদাস পরমেশ্বর দাস দুই জন।
গোপভাবে হৈ হৈ করে সর্বক্ষণ।।
— (শ্রীচৈতন্য ভাগবত তাঃ ৫।৭৩২)
শ্রীজাহবা মাতা খেতরি মহোৎসবে যখন যান তখন শ্রীপরমেশ্বরীদাস ঠাকুর তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি শ্রীজাহ্নবা মাতার সঙ্গে ব্রজধামেও গমন করেছিলেন।
শ্রীপরমেশ্বর দাস ঠাকুর শ্রীজাহ্নবা মাতার আদেশে আটপুরে শ্রীরাধাগোপীনাথ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা উৎসবে ঈশ্বরী শ্রীজাহ্নবা মাতা স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীবৈষ্ণর বন্দনায় আছে—
পরমেশ্বর দাস ঠাকুর বন্দিব সাবধানে।
শৃগালে লওয়ান নাম সংকীৰ্ত্তন স্থানে।।
শ্রীজাহ্নবা মাতা বৃন্দাবনে শ্রীগোবিন্দদেবের জন্য যে শ্রীরাধা মূর্ত্তি নির্মাণ পূর্ব্বক প্রেরণ করেন, সেই মূর্ত্তির সঙ্গে ছিলেন শ্রীপরমেশ্বরী দাস ঠাকুর। তিনি শ্রীজাহ্নবা মাতার অতি প্রিয় সেবক ছিলেন।
শ্রীপরমেশ্বরী দাস ঠাকুরের তিরোভাব জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথি।