কলিযুগ পাবনাবতারী শ্রীমদ্ গৌরসুন্দরের শুভ আবির্ভাব তিথি ও শ্রীশ্রীগৌরজয়ন্তীর ব্রতোপবাস
১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
……..শ্রীমদ্ গৌরসুন্দরের শুভ জন্মোৎসব
……..শ্রীগৌরপূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমা
……..শ্রীশ্রীকৃষ্ণের বসন্তোৎসব
……..পূর্ণিমান্তে ৫৩৯ গৌরাব্দ আরম্ভ
……..পরের দিন দি ৯।৪৬মিঃ মধ্যে শ্রীশ্রীগৌরজয়ন্তী ব্রতের পারণ
শ্রী গৌর পূর্ণিমা হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শুভ আবির্ভাবের দিন, যা তাঁর সোনালি রঙের কারণে গৌরাঙ্গ নামেও পরিচিত। শাস্ত্রে যেমন বলা হয়েছে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণ শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং হরেকৃষ্ণ মহা মন্ত্র নামে পরিচিত ঈশ্বরের পবিত্র নামগুলির সমবেত জপের মাধ্যমে ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভক্তির গুরুত্ব শিখিয়েছিলেন। তিনি ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) ফাল্গুনী পূর্ণিমায় শ্রীধাম মায়াপুরে (১৪০৭ শকাব্দ) শ্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং শ্রীমতি শচীদেবীর পুত্র হিসাবে আবির্ভূত হন। তার পিতামাতা তার নাম রাখেন নিমাই যেহেতু তিনি তার পৈতৃক বাড়ির উঠানে একটি নিম্বা (নিম) গাছের নিচে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই উৎসব গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের নববর্ষের সূচনাও করে।
শ্রীগৌর আবির্ভাব মহোৎসব—এই দিন সকাল থেকে সারারাত্রি পর্যন্ত আরতি কীর্ত্তন, পারায়ণ, হোলিখেলা থেকে শুরু করে দ্বীপাবলী আদি মহোৎসব চলতে থাকে—১। প্রভাতী কীর্তন ও মঙ্গলারতি, ২। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য ভাগবতের পরায়ণ, ৩। হরিনাম ও দীক্ষাপ্রদান আদি মহোৎসব, ৪। প্রশ্নোত্তর ক্লাস, ৫। ভক্তিশাস্ত্রী পরীক্ষা, ৬। ব্যান পার্টি যোগে রাখেলা, ৭। শ্রীগৌরাঙ্গৌস্মরণমঙ্গললীলা পাঠ, ৮। শ্রীনবদ্বীপধাম প্রচারিণী সভা, ৯। সন্ধ্যায় দীপাবলি মহোৎসব, ১০। আবির্ভাব কীৰ্ত্তন, ১১। রাত্রিতে ভোগরাগ, অভিষেক ও আরতি, ১২। শ্রীমন্মহাপ্রভুর লীলা সম্বন্ধীয় নাটক। ১৩। পরদিন শ্রীজগন্নাথ মিশ্রের গৃহে ধামবাসীদের মহাপ্রসাদ বিতরণ।