Keshav Brata
পদ্মপুরাণে পাতালখণ্ডে নারদ-অম্বরীষ-সংবাদে, যথা— বৈশাখমাসে আদিত্যদেব মেষরাশিস্থ হইলে কেশবের প্রীতির জন্য কেশবব্রতের অনুষ্ঠান করিবে। তিল, ঘৃত প্রভৃতি দ্রব্য এবং বৈশাখমাসে প্রদান করিলে, সেই দানদ্বারা কেটিন্মার্জিত পাতকের ধ্বংস হয়। সম্পত্তিসত্ত্বে মনোহভিলাষ সিদ্ধির জন্য বৈশাখ মাসে জল, অম্ল, শর্করা, ধেনু ও তিলধেনু দান করা এবং বিধানে বহিঃস্থ নদী প্রভৃতিতে (প্রতিদিন ) দুইবার করিয়া স্নান করা উচিত।
বৈশাখমাসে হবিষ্যভোজন, ব্রহ্মচর্যানুষ্ঠান, ধরায় শয়ন, সঙ্কল্পরক্ষণ, ব্রত, দান, ইন্দ্রিয়সংযম ও হরিপুজা এই সমস্ত অবশ্য করা উচিত। এই সমস্তক্রিয়া হরির সন্তোষকর, এতদ্ভিন্ন ঐ মাসে তিল, জল, স্বর্ণ, অম্ল, শর্করা, বস্ত্র, ধেনু, পাদুকা, ছত্র ও জলপূর্ণ কুম্ভ দ্বিজাতিগণকে দান করিতে হয়। ঐ মাসে ত্রিসন্ধ্যা স্থিরমনে ভক্তিপূর্বক বিমলা লক্ষ্মীসহ সাক্ষাৎ দেবেশ্বর মধুহূদনকে পুজা করিবে ।
উক্ত পুরাণে বরাহ-ধরণী-সংবাদে, যথা—বৈশাথমাসে বিশাল পাতক বিনাশজন্য মহান্ ধর্মকে মধুসমন্বিত তিল অর্পণ করিতে হইবে।
মাহাত্ম্য-লিখন বিষয়ে বহু সংখ্যক স্পষ্টীকৃত কৃত্য থাকিলেও এস্থলে সংগ্রহপূর্বক সংক্ষেপে লেখা হইল ।
[[তুলসীজল-স্থানমাহাত্ম্য
গরুড়পুরাণে বর্ণিত হইয়াছে— হে দ্বিজ ! বৈষ্ণব জন স্নানকালে দেহে তুলসীমার্জন করিলে তৎক্ষণাৎ তাঁহার দেহ নিথিল তীর্থময় হয়। ব্রহ্মবধকারীরও তুলসীদল-মিশ্রিত জলদ্বারা স্নান করিলে, বিশেষতঃ একাদশীতে স্নান করিলে সমস্ত পাপ মোচন হয়। প্রত্যহ তুলসীমূলস্থ মৃত্তিকা শরীরে লেপন করিয়া স্নান করিলে, দশসংখ্য অশ্বমেধের অবভূথ স্নানফল প্রাপ্ত হওয়া যায় । বুধগণ তুলসীদল-সংযুক্ত জলকে জাহ্নবীসলিল-সমান জানেন। যে ব্যক্তি প্রত্যহ শিরোদেশে তুলসীমিশ্রিত জল বহন করেন, তাঁহার মস্তকে গঙ্গাধারণ-ফল হয়। তুলসীদলসংযুক্ত জল শিরোদেশে বহন করিলে, তিনি নিখিলতীর্থ স্নানের ফল প্রাপ্ত হয়েন, সন্দেহ নাই। তাম্রপাত্রস্থ তুলসীদল-মিশ্রিত বিষ্ণুপাদোদক শঙ্খে লইয়া মূলমন্ত্রোচ্চারণ-সহকারে নিজমস্তকে অভিষেক করিবে।]]