Nabadwip Dham Parikrma
দ্বিতীয় দিনের পরিক্রমা
৩ মার্চ ২০২৩
(শ্রীগোদ্রুমদ্বীপ ও শ্রীমধ্যদ্বীপ পরিক্রমা)
শ্রীগোদ্রুমদ্বীপ—এটি “কীৰ্ত্তনাখ্য” ভক্তির পীঠ স্বরূপ। এইস্থানে সুরভীকুঞ্জ রয়েছে। সুরভীগাভীকে নিয়ে দেবরাজ ইন্দ্র এসে তপস্যা করেছিলেন। দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের চরণে অপরাধ করেছিলেন। সেই অপরাধ ক্ষমা ভিক্ষার জন্য কলিতে অভিন্ন ব্রজেন্দ্রনন্দন শ্রীকৃষ্ণ গৌরহরি রূপে নবদ্বীপে অবতীর্ণ হলে তাঁর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করে অপরাধ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। এই স্থানে একটি বিরাট অশ্বত্থ বৃক্ষ ছিল। তার নীচে সুরভী ইন্দ্র সহ তপস্যা করেছিলেন তাই এই দ্বীপের নাম “গোদ্রুন” হয়। এছাড়া গৌড়ীয় ধারার মূল পুরুষ শ্রীল সচ্চিদানন্দ ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের ভজন কুটীর ও সমাধি মন্দির রয়েছে। এইস্থান হতে মায়াপুরের জ্যোতিপুঞ্জ দেখে শ্রীমন্মহাপ্রভুর জন্মভিটা আবিষ্কার করেছিলেন। এইস্থানে বসে কীৰ্ত্তন ও ধাম মহিমা পাঠ করা হয়।
হরিহরক্ষেত্র—এটিকে অভিন্ন কাশীধাম বলা হয়। এখানে হরি ও হর মূর্ত্তি একআত্মা রূপে বিরাজিত ও পার্শ্বে অলকানন্দা নদী প্রবাহিত হচ্ছে।
সুবর্ণবিহার—এখানে সত্যযুগে সুবর্ণসেন রাজা বাস করতেন। তিনি নারদের কাছ থেকে কলিতে গৌর অবতারের কথা জানতে পেরে গৌরনাম কীর্তন করেছিলেন এবং পরে সুবর্ণবর্ণের গৌরহরিকে দর্শন করেছিলেন। এস্থানে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ প্রতিষ্ঠিত শ্রীগৌড়ীয় মঠ রয়েছে।
শ্রীমধ্যদ্বীপ – পরিক্রমা পার্টি কীৰ্ত্তন সহ চলতে চলতে প্রথমে “পঞ্চানন তলায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেন। তারপর মধ্যাহ্ন কালে শ্রীমধ্যদ্বীপের অন্তর্গত দেবপল্লী বা নৃসিংহ পল্লীতে উপস্থিত হন। তথায় শ্রীনৃসিংহ মন্দির সাক্ষাৎ বিরাজমান। সত্যযুগে শ্রীনৃসিংহদেব হিরণ্যকশিপুকে বধ করে এখানে বিশ্রাম করেছিলেন। এছাড়া সপ্ত ঋষিকে মধ্যাহ্নকালে ভগবান শ্রীগৌরহরি এস্থানে দর্শন দিয়েছিলেন। এর আশে পাশে নৈমিষ্যারণ্য, পুষ্কর, কুরুক্ষেত্র আদি তীৰ্থসকল গুপ্ত রূপে রয়েছে। এই দ্বীপটি “স্মরণান্য” ভক্ত পীঠস্থান।
শ্রীহংসবাহন শিব- পরিক্রমা পার্টি ফেরার পথে শ্রীহংসবাহন শিবঠাকুরকে দর্শন করে। শিবঠাকুর কৈলাশ পর্বতে হংসের উপরে চরে গৌরধামে শ্রীসূতগোস্বামীপাদের নিকট গৌরকথা শ্রবণের জন্য এসেছিলেন।