
Nabadwip Dham Parikrma
প্রথম দিনের পরিক্রমা
২ মার্চ ২০২৩
(শ্রীরুদ্রদ্বীপ ও শ্রীসীমন্তদ্বীপ পরিক্রমা)
শ্রীরুদ্রদ্বীপ—এটি নবধাভক্তির মধ্যে “সখ্য” ভক্তির পীঠস্থান। এখানে শিবঠাকুর বা রুদ্রদেব তার গণসহ শ্রীগৌরসুন্দরের দিব্যধাম দর্শন করে কীর্তন করতে করতে নৃত্য করেছিলেন। এস্থানের পাশ দিয়ে সুরধুনী গঙ্গা প্রবাহিত। জল শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ এই স্থানে রুদ্রদ্বীপ গৌড়ীয় মঠ স্থাপন করে ও সেই সঙ্গে শিবলিঙ্গ প্রকাশ করে। ধামের সেবা প্রকাশ করেছেন। পথে মহাপ্রভুর ঘাট যেখানে শৈশবকালে মহাপ্রভু শিশুদের নিয়ে গঙ্গায় জলকেলি করতেন। পথে বারকোনা ঘাট (দিগ্বিজয়ী উদ্ধার স্থান) ও মাধাইয়ের ঘাট দেখা যায়। এই স্থানে মন্দির দর্শন ও কীর্তন সহ পরিক্রমা করে। কিছুক্ষণ শ্রীধাম মহিমা কীর্তন করা হয়। চার বৈষ্ণব আচার্যের মধে শ্রীবিষ্ণুস্বামী এই স্থানে তপস্যা করে ভক্তিজ্ঞান লাভ। করেছিলেন।
শ্রীসীমন্তদ্বীপ–পরিক্রমা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে। পথে গঙ্গানগর, পুথকুণ্ড ও ধীরসমীর পেরিয়ে বিপ্রহরকালে দুর্গাদেবীর তপস্যার স্থল শ্রীসীমশুদ্বীপে উপস্থিত হয়। এখানে শিবঠাকুরের কৃপায় পার্বতীদেবী শ্রীকৃষ্ণের অভিন্ন বিগ্রহ শ্রীমহাপ্রভুর তপস্যা করে তাঁর দর্শন ও কৃপা পেয়েছিলেন। মহাপ্রভুর চরণগুলি নিজ কপালে স্পর্শ করবার জন্য এই স্থানের নাম সীমান্তদ্বীপ হয়। এইস্থানে শ্রীশচীদেবীর পিত্রালয় শ্রীনীলাম্বর চক্রবর্তীর সেবিত শ্রীমদনগোপাল বিগ্রহ দর্শন করা হয়। যাত্রীগণ সেই অপূর্ব শ্রীমূর্তি দর্শন ও মন্দির পরিক্রমা করেন। তৎপর শ্রীল গুরুদের শ্রীধামের মহিমা কীর্তন করেন। স্থানটির নাম বিশ্ব পুকুর। এখানে শ্রীমন্মহাপ্রভুর মাতা শচীদেবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি নবধাভক্তির অন্যতম “শ্রবণ” রূপ ভক্ত্যাঙ্গের পীঠস্থান। ভক্তগণ সহ পরিক্রমা পার্টি ধীরে ধীরে কীর্তন করতে করতে পথে চাঁদকাজীর সমাধি মন্দির দর্শন করেন এবং মায়াপুরে শ্রীমন্মহাপ্রভুর জন্মভিটাকে ডান দিকে রেখে সরস্বতী নদী পেরিয়ে শ্রীগোদ্রুম দ্বীপে ফিরে আসেন।