Gita Jayanti
গীতা জয়ন্তী হল শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আবির্ভাবের শুভ দিন। এই সেই দিন যেদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ 5000 বছর আগে কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে বৈদিক জ্ঞানের সারমর্ম প্রদান করেছিলেন এবং তাকে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে আলোকিত করেছিলেন।
ভগবদ্গীতার আক্ষরিক অর্থ হল পরমেশ্বরের গান।এটি বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত বৈদিক সাহিত্য।
গীতা-মাহাত্ম্যে যেমন বলা হয়েছে, ভগবদ্-গীতার নির্দেশ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে, এই জীবনে সমস্ত দুঃখ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং পরবর্তী জীবনে জড়জগৎ থেকে আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করবেন ।
শাস্ত্র থেকে পাই—–
(ক) “হেমন্তে প্রথমে মাসি শুরুপক্ষে ত্রয়োদশীম্।
প্রবৃত্ত ভারতং যুদ্ধং নক্ষত্রে যমদৈবতে ॥”
(মহাভারত, ভীষ্মপর্ব ১৭ অধ্যায় ১ম শ্লোকান্তৰ্গত নীলকণ্ঠ-টীকাধৃত ভারত-সাবিত্রী বচন)
(খ) “** স্বয়ং ভগবানচিন্তাশক্তিঃ পুরুষোত্তমঃ *** আত্মমুদ্ধি স্বাত্মভূতপ্যর্জুনম্ *স্বগীতোপনিষদমুপাদিশৎ ”
(শ্রীমদ্ভগবৎ গীতা শ্রীল বলদেব বিদ্যাভূষণকৃত গীতাভূষণ ভাষ্য) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধারম্ভকালেই বা যুদ্ধমুখেই শ্রীমগবৎ গীতার আবির্ভাব কাল বা গীতা জয়ন্তী অচিন্ত্যশক্তিশালী পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজ নিত্য সিদ্ধমূৰ্ত্তিতে যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে গীতার উপদেশ করিয়াছিলেন।