Disappearance Day of Narottama Das Thakur


আকুমার ব্রহ্মচারী সব্বতীর্থদর্শী।
পরম ভাগবতোত্তম শ্রীল নরোত্তম দাসঃ।।
পদ্মাবতী নদীতটে গোপালপুর নগরে রাজা শ্রীকৃষ্ণানন্দ দত্ত বাস করতেন। তাঁর জ্যেষ্ঠভ্রাতা শ্রীপুরুষোত্তম দত্ত। দুই ভাইয়ের ঐশ্বর্য ও যশাদির তুলনা হয় না।
রাজা শ্রীকৃষ্ণানন্দের পুত্র শ্রীনরোত্তম এবং শ্রীপুরুষোত্তম দত্তের পুত্র শ্রীসন্তোষ দত্ত। মাঘ মাসের শুক্ল পঞ্চমীতে শ্রীনরোত্তম ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন।শুভলগ্নে পুত্রের জন্মে রাজা কৃষ্ণানন্দ আনন্দে বহু দান-দক্ষিণা ব্রাহ্মণগণকে প্রদান করেন। ব্রাহ্মণগণ লগ্ন দেখে বললেন পুত্র প্রসিদ্ধ মহান্ত হবে, এর প্রভাবে বহু লোক উদ্ধার হবে।
রাজপুরে দিন দিন শশীকলার ন্যায় শিশু বাড়তে লাগল। তপ্ত কাঞ্চনের ন্যায় অঙ্গকান্তি, দীঘল নয়ন, আজানুলম্বিত ভুজযুগল ও গভীর নাভি,- মহাপুরুষের লক্ষণসমূহ বর্তমান। পুত্র দর্শনের জন্য রাজপুরে সর্ব্বদা লোকজনের সমাবেশ হত। ক্রমে অন্নপ্রাশন চূড়াকরণাদি হল। পুত্রের কল্যাণের জন্য শ্রীকৃষ্ণানন্দ বহু দান-ধ্যান করলেন।
রাজা কৃষ্ণানন্দের পত্নীর নাম শ্রীনারায়ণী দেবী। তিনি অপূৰ্ব্ব পুত্র পেয়ে আনন্দ সাগরে ভাসতে লাগলেন। তিনি শ্রীনারায়ণের কাছে সর্ব্বদা পুত্রের মঙ্গল কামনা করতে লাগলেন। শিশু অতিশয় শান্ত, জননী যেস্থানে রাখতেন সেখানে থাকতেন। অন্তঃপুরে রমণীগণ শিশুকে লালনপূর্ব্বক কত আনন্দ প্রাপ্ত হতেন। ক্রমে বয়োবৃদ্ধি হলে তার হাতে খড়ি দিলেন। বালক যে বর্ণ একবার গুরু স্থানে শুনতেন তখনই তাহা কণ্ঠস্থ করতেন। অল্পকালের মধ্যেই তিনি ব্যাকরণ, কাব্য ও অলঙ্কার শাস্ত্রে বিশেষ পারঙ্গত হলেন। পণ্ডিত স্থানে দর্শন শাস্ত্রাদি কিছু কাল অধ্যয়ন করলেন। কিন্তু ভাগবদ্ ভজন বিনা বিদ্যার কোন সার্থকতা হয় না ইহা বিশেষ অনুভব করলেন। পূর্ব্বে বহু বিদ্বান ব্যক্তি সংসার ত্যাগ করে অরণ্যে গিয়ে শ্রীহরির উপাসনা করেছেন। শ্রীনরোত্তম দাসের মন দিনের পর দিন সংসারের প্রতি উদাসীন হতে লাগল। তিনি ভোগবিলাসে উদাসীন হলেন। এ সময় শ্রীগৌরসুন্দরের ও নিত্যানন্দের মহিমা ভক্তগণের মুখে শুনে হৃদয়ে পরম আনন্দ অনুভব করতে লাগলেন। কিছুদিনের মধ্যে শ্রীনরোত্তম শ্রীগৌর-নিত্যানন্দের গুণে আকৃষ্ট হয়ে দিন রাত ঐ নাম জপ করতে লাগলেন। দয়াময় শ্রীগৌরসুন্দর সপার্ষদ একদিন স্বপ্নযোগে নরোত্তমকে দর্শন দিলেন।
অতঃপর কেমনে সংসার ত্যাগ করে শ্রীবৃন্দাবনে যাবেন শ্রীনরোত্তম দিন রাত ভাবতে লাগলেন।
হরি ! হরি ! কবে হব বৃন্দাবনবাসী।
নয়নে নিরখিব যুগল রূপরাশি।।
এই বলে শ্রীনরোত্তম সৰ্ব্বদা গাইতে লাগলেন। বিষয়ের প্রতি, ভোগ বিলাসের প্রতি শ্রীনরোত্তমের বৈরাগ্য দেখে রাজা কৃষ্ণানন্দ ও নারায়ণী দেবী নানা চিন্তা করতে লাগলেন। পুত্র যাতে সংসার ত্যাগ করে যেতে না পারে তজ্জন্য কিছু লোক পাহারা নিযুক্ত করলেন। শ্রীনরোত্তম দেখলেন দুর্গম বিষম পর্ব্বত অতিক্রম করে, তিনি বোধ হয় শ্রীগৌরসুন্দরের শ্রীচরণ ভজন ও শ্রীবৃন্দাবন ধামে যেতে পারবেন না। নিরুপায়ভাবে কেবল শ্রীগৌর নিত্যানন্দের কাছে কৃপা প্রার্থনা করতে লাগলেন। ইতি মধ্যে গৌড়েশ্বরের লোক এসে রাজা কৃষ্ণানন্দকে গৌড়েশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎকার করতে বললেন। রাজা কৃষ্ণানন্দ ও পুরুষোত্তম দত্ত দুই ভাই গৌড়-রাজ-দরবার অভিমুখে যাত্রা করলেন। শ্রীনরোত্তম সংসার ত্যাগের ভাল সুযোগ পেল। তখন জননীর কাছ থেকে কোন প্রকারে বিদায় নিয়ে রক্ষক-লোকের অলক্ষ্যে বৃন্দাবন অভিমুখে যাত্রা করলেন। কার্ত্তিক পূর্ণিমায় শ্রীনরোত্তম সংসার ত্যাগ করেন। তিনি অতি দ্রুত বঙ্গভূমি অতিক্রম করে শ্রীমথুরা ধামের পথ ধরলেন। যাত্রীগণ শ্রীনরোত্তমের প্রতি অতি স্নেহ রতে লাগলেন, তাঁকে দেখে বুঝলেন কোন রাজকুমার হবে। তিনি কখনও দুধ পান করে, কখনও বা ফলমুলাদি ভোজন করে চলতে লাগলেন। শ্রীবৃন্দাবন ভূমি দর্শনের আশায় তাঁর ক্ষুধা-তৃষ্ণা চলে গেছে। স্থানে স্থানে লোক মুখে শ্রীগৌর-নিত্যানন্দের মহিমা শুনে তাঁদের শ্রীচরণ চিন্তায় বিভোর হয়ে পড়েন। চলতে চলতে পতিত পাবন নিত্যানন্দ প্রভুর শ্রীচরণে প্রার্থনা করতে লাগলেন।
আর কবে নিতাই চাঁদ করুণা করিবে।
সংসার বাসনা মোর কবে তুচ্ছ হবে।।
বিষয় ছাড়িয়া কবে শুদ্ধ হবে মন।
কবে হাম হেরব মধুর বৃন্দাবন।।
এইরূপে চলতে চলতে শ্রীনরোত্তম মথুরা ধামে এলেন এবং যমুনাদেবীকে দর্শন বন্দনাদি করলেন। শ্রীরূপ, সনাতন প্রভৃতি গোস্বামিগণের নাম স্মরণ করে ক্রন্দন করতে লাগলেন। অনন্তর শ্রীবৃন্দাবন ধামে এলেন। শ্রীমদ্ জীব গোস্বামী তাঁকে শ্রীলোকনাথ গোস্বামীর শ্রীচরণ সেবা করতে বললেন। অতি বৃদ্ধ লোকনাথ গোস্বামী শ্রীগৌর-বিরহে অতি কষ্টে প্রাণ ধারণ করছেন। শ্রীনরোত্তম তাঁর চরণ বন্দনা করলে, শ্রীলোকনাথ গোস্বামী বললেন তুমি কে? শ্রীনরোত্তম বললেন আমি আপনার দীন-হীন দাস, শ্রীচরণ সেবাকাঙ্খী। শ্রীলোকনাথ গোস্বামী বললেন—আমি শ্রীগৌর গোবিন্দের সেবা করতে পারলাম না অন্যের সেবা কি করে নিব। শ্রীনরোত্তন গুপ্তভাবে নিশাকালে গোস্বামীর মুত্র-পুরীষের স্থানাদি সংস্কার করে রেখে দিতেন। কয়েক বছর এই ভাবে সেবা করতে থাকলে, শ্রীলোকনাথ গোস্বামীর কৃপা হল, শ্রাবণ পৌর্ণমাসীতে দীক্ষা প্রদান করলেন।
তিনি মাধুকরী করে খেতেন এবং শ্রীজীব গোস্বামীর নিকট গোস্বামী গ্রন্থ অধ্যয়ন করতেন। শ্রীনিবাস আচার্য্যের সঙ্গে তার চির মিত্রভাব, উভয়ে শ্রীজীবের নিকট অধ্যয়ন করেন। এ সময় গৌড় দেশ থেকে শ্রীশ্যামানন্দ প্রভু এলেন; তিনি শ্রীজীব গোস্বামীর নিকট গোস্বামী গ্রন্থ অধ্যয়ন করতে আরম্ভ করলেন। তিনজন একাশয় ও এক হৃদয় ছিলেন। তিনজন একান্তভাবে ব্রজে ভজন করবেন বলে সময় করলেন কিন্তু সে আশা পূর্ণ হল না। একদিন শ্রীজীব গোস্বামী তিনজনকে ডেকে বললেন ভবিষ্যতে তোমাদিগকে শ্রীমন্মহাপ্রভুর বাণী প্রচার করতে হবে। এ গোস্বামী-গ্রন্থরত্ন নিয়ে তোমরা শীঘ্র গৌড় দেশে গমন কর এবং তা প্রচার কর।
তিনজন বৃন্দাবন বাসের সংকল্প ত্যাগ করে শ্রীগুরু-বাণী শিরে ধারণ করলেন। গ্রন্থ রত্ন নিয়ে গৌড় দেশ অভিমুখে যাত্রা করলেন। চলতে চলতে বনবিষ্ণুপুরে প্রবেশ করলেন। বনবিষ্ণুপুরের রাজা দস্যু দলপতি শ্রীবীর হাম্বীর রাত্রে সেই গ্রন্থ রত্নসমূহ হরণ করলেন। প্রাতে গ্রন্থ-রত্ন না দেখে শিরে যেন বজ্রপাত হল। দুঃখিত অন্তঃকরণে চতুর্দিকে অনুসন্ধান করতে করতে খবর পেলেন রাজা বীর হাম্বীর গ্রন্থ হরণপূর্ব্বক উহা রাজগৃহে সংরক্ষণ করছেন। শ্রীশ্যামানন্দ প্রভু উৎকল অভিমুখে এবং শ্রীনরোত্তম খেতরির দিকে যাত্রা করলেন ও শ্রীনিবাস আচার্য্য গোস্বামী-গ্রন্থ রাজগৃহ থেকে উদ্ধার করবার মানসে তথায় অবস্থান করতে লাগলেন।
শ্রীনরোত্তম মহাপ্রভুর জন্ম স্থান দর্শনের জন্য ব্যাকুল হয়ে শীঘ্র নবদ্বীপে এলেন। হা গৌর হরি, হা গৌর হরি বলে গঙ্গা তটে তিনি শত শত বার বন্দনা করতে লাগলেন। একটি বৃক্ষতলে উপবেশন করলেন এবং কোথায় প্রভুর জন্মস্থান? কি করে দর্শন পাবেন ভাবতে লাগলেন, এমন সময় অতিবৃদ্ধ এক জন ব্রাহ্মণ তথায় আগমন করলেন। শ্রীনরোত্তম উঠে ব্রাহ্মণকে প্রণাম করলেন। ব্রাহ্মণ বললেন—বাবা কোথা থেকে এসেছ? কি নাম? শ্রীনরোত্তম নিজ পরিচয় দিয়ে শ্রীগৌরসুন্দরের জন্ম স্থান দর্শনের ইচ্ছা নিয়ে এসেছেন বললেন।
ব্রাহ্মণ বললেন,—আহা, আজ প্রাণ শীতল হল। গৌরের প্রিয় ভক্তের দর্শন পেলাম।
শ্রীনরোত্তম—বাবা! আপনি শ্রীগৌরসুন্দরের দর্শন পেয়েছিলেন?
ব্রাহ্মণ—কি বলব বাবা ! শ্রীনিমাই প্রতিদিন এই ঘাটে বসে শিষ্যগণসহ শাস্ত্র চর্চ্চা করতেন। দুর থেকে আমরা তখন তাঁর কি অপূর্ব্ব রূপ দেখতাম, আজও সেই রূপ স্মরণ করে এই বৃক্ষতলে প্রতিদিন একবার করে আসি। ব্রাহ্মণ বলতে বলতে অশ্রু জলে ভাসতে লাগলেন।
শ্রীনরোত্তম—বাবা ! আজ আপনার চরণ দর্শন করে জীবন ধন্য হল।
এ বলে অশ্রুপূর্ণ নয়নে শ্রীনরোত্তম ব্রাহ্মণের চরণ তলে লুটিয়ে পড়লেন।
ব্রাহ্মণ—বাবা ! আমি আশীর্ব্বাদ করছি, তুমি গোবিন্দ চরণে ভক্তি লাভ কর। গৌর-গোবিন্দের কথা সর্ব্বত্র প্রচার কর।
অতঃপর ব্রাহ্মণ নরোত্তম দাসকে শ্রীজগন্নাথ মিশ্রের গৃহে যাবার পথ দেখিয়ে দিলেন। শ্রীনরোত্তম সে পথ দিয়ে শ্রীজগন্নাথ মিশ্র ভবনে আগমন করলেন। অশ্রুপূর্ণ নয়নে তিনি মিশ্র গৃহের দ্বার দেশে সাষ্টাঙ্গ বন্দনাপূৰ্ব্বক ক্রন্দন করতে লাগলেন। অনন্তর ভবনে প্রবেশ করে শ্রীশুক্লাম্বর ব্রহ্মচারীর চরণ দর্শন পেলেন। নরোত্তম তাঁর শ্রীচরণ বন্দনা করলেন। অনুমানে শুক্লাম্বর ব্রহ্মচারী বুঝতে পারলেন ইনি গৌরসুন্দরের কোন কৃপা পাত্র।
শ্রীশুক্লাম্বর ব্রহ্মচারী জিজ্ঞাসা করলেন–তুমি কে?
শ্রীনরোত্তম ঠাকুর নিজ পরিচয় দিয়ে বললেন বর্তমানে তীব্রজ ধাম, শ্রীজীব গোস্বামী ও শ্রীলোকনাথ গোস্বামী প্রভৃতির সন্নিকট থেকে এসেছি।
শ্রীশুক্লাম্বর—বাবা, তুমি ব্রজে শ্রীলোকনাথ ও শ্রীজীবের থেকে এসেছ? এ বলে উঠে নরোত্তম দাসকে দৃঢ় আলিঙ্গন করলেন। অনন্তর তিনি যাবতীয় গোস্বামিগণের কুশল বার্তা জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন। শ্রীনরোত্তম ব্রহ্মচারীর নিকট ব্রজের যাবতীয় সংবাদ যথাযথ বর্ণনা করলেন। অনন্তর শ্রীনরোত্তম শচীমাতার সেবক—অতিবৃদ্ধ শ্রীঈশান ঠাকুরের চরণ বন্দনা করলেন এবং স্বীয় পরিচয় প্রদান করলেন। শ্রীঈশান ঠাকুর তাঁর শির স্পর্শ করে আশীৰ্ব্বাদ করতে করতে স্নেহে আলিঙ্গন করলেন। তথায় শ্রীদামোদর পণ্ডিতকেও নরোত্তম বন্দনা করলেন।
অনন্তর শ্রীনরোত্তম শ্রীবাস পণ্ডিতের গৃহে এসে শ্রীপতি ও শ্রীনিধি পণ্ডিতকে বন্দনা করলেন। তাঁরা স্নেহ ভরে শ্রীনরোত্তমকে আলিঙ্গন করলেন। কয়েকদিন নবদ্বীপ মায়াপুরে থাকার পর শ্রীনরোত্তম শান্তিপুরে অদ্বৈত ভবনে এলেন ও শ্রীঅচ্যুতানন্দের চরণ বন্দনা করলেন। পরিচয় পেয়ে শ্রীঅচ্যুতানন্দ সাদরে তাঁকে আলিঙ্গন এবং ব্রজে গোস্বামিদিগের কুশল বার্তা জিজ্ঞাসা করলেন। শান্তিপুরে নরোত্তম দাস দুই দিবস অবস্থানের পর অম্বিকা কালনায় শ্রীগৌরীদাস পণ্ডিতের ভবনে এলেন। তখন শ্রীহৃদয় চৈতন্য প্রভু তথায় অবস্থান করছেন। তিনি গৌরীদাস পণ্ডিতের শিষ্য। শ্রীনরোত্তম শ্রীহৃদয় চৈতন্য প্রভুকে বন্দনা করলেন। সাদরে হৃদয় চৈতন্য প্রভু নরোত্তম দাসকে ধরে আলিঙ্গন পূর্ব্বক উপবেশন করলেন এবং ব্রজের গোস্বামিগণের সন্দেশ নিতে লাগলেন।একদিন অম্বিকা কালনাতে শ্রীনরোত্তম ঠাকুর থাকবার পর গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর মিলনস্থলী সপ্তগ্রামে এলেন। এ স্থানে শ্রীউদ্ধারণ দত্ত ঠাকুর থাকতেন। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর কৃপায় সপ্তগ্রাম বাসীরা পরম ভক্ত হন। শ্রীউদ্ধারণ দত্ত ঠাকুরের অপ্রকটের পর সপ্তগ্রাম অন্ধকারময় হয়। শ্রীনরোত্তম উদ্ধারণ দত্ত ঠাকুরের গৃহে গমন করলেন। তথায় যে কয়েকজন ভক্ত আছেন প্রভু বিরহে অতি দুঃখে তাঁরা দিন যাপন করছেন। শ্রীনরোত্তম দাস বৈষ্ণবগণকে বন্দনা করে তথা হতে খড়দহ গ্রামে এলেন।
খড়দহ গ্রামে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু অবস্থান করতেন। তাঁর শক্তিদ্বয় শ্রীবসুধা ও জাহ্নবা দেবী তথায় অবস্থান করছেন। শ্রীনরোত্তম নিত্যানন্দ ভবনে এসে অঙ্গনে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর নাম স্মরণ পূর্ব্বক গড়াগড়ি দিতে লাগলেন। শ্রীপরমেশ্বরী দাস ঠাকুর শ্রীনরোত্তম দাসকে অন্তঃপুরে শ্রীবসুধা জাহ্নবা মাতার শ্রীচরণে নিলেন। তাঁরা নরোত্তম দাসের পরিচয় এবং শ্রীজীব ও শ্রীলোকনাথের পরম কৃপা পাত্র শুনে খুব অনুগ্রহ করলেন।
সর্বতত্ত্বজ্ঞাতা বসু-জাহাবী ঈশ্বরী।
অনুগ্রহ কৈল যত কহিতে না পারি।।
—(ভঃরঃ ৮।২১৩)

Hare Krishna

Anna Daan Seva

All Time Donation

Cow Service (Gau Seva)

All Time Donation

Daily Deity Seva

All Time Donation

Vaishnava Bhojan

All Time Donation

Naivaidyam Seva

All Time Donation

EXCLUSIVE

Nitya Seva

All Time Donation