Disappearance Day of Srila Gopal Guru Goswami Thakur
শ্রীগোপাল গুরু গোস্বামী শ্রীবক্রেশ্বর প্রভুর শিষ্য ছিলেন। তিনি উৎকলবাসী ব্রাহ্মণ। শিশুকাল থেকেই তিনি বক্রেশ্বর প্রভুর নিয়ামকত্বে অবস্থান করেন। মহাপ্রভু তাঁর প্রতি বড়ই স্নেহশীল ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে নানা রহস্য করতেন। প্রভু রহস্য করে তাঁকে ‘গুরু’ বলে ডাকতেন। তখন থেকে তিনি ‘গুরু’ আখ্যা প্রাপ্ত হন।
শ্রীস্বরূপ দামোদর প্রভুর ও শ্রীরঘুনাথ দাস গোস্বামীর সঙ্গ প্রভাবে তিনি রসোপাসনার পদ্ধতি বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করেন। কাশী মিশ্র ভবনে, যেখানে মহাপ্রভু থাকতেন, সেখানে পরে শ্রীবক্রেশ্বর প্রভু অবস্থান করেন। এখন ঐ স্থানের নাম শ্রীগম্ভীরা। শ্রীবক্রেশ্বর প্রভুর অপ্রকটের পর শ্রীগোপাল গুরু গোস্বামী তথায় অবস্থান করতেন। তিনি সেখানে শ্রীরাধাকান্ত বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন।
শ্রীগোপাল গুরু গোস্বামী ‘স্মরণ পদ্ধতি’ নামে গ্রন্থ রচনা করেন। ঐ গ্রন্থে ছাব্বিশটি অধ্যায় আছে। শ্রীগোপাল গুরু গোস্বামীর শিষ্য শ্রীধ্যানচন্দ্র গোস্বামী গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের বড় আচার্য্য ছিলেন। তিনি “ধ্যান চন্দ্র পদ্ধতি” নামে এক গ্রন্থ রচনা করেন।
শ্রীল নরোত্তম ঠাকুর যখন নীলাচলে যান তখন কাশী মিশ্র ভবনে তাঁর সঙ্গে শ্রীগোপাল গুরু গোস্বামীর সাক্ষাৎ হয়।
নরোত্তম গেলা কাশী মিশ্রের ভবন।
শ্রীগোপালগুরু-সহ হইল মিলন।।
—(ভঃ রঃ ৮।৩৮২)
শ্রীগোপাল গুরু গোস্বামী ব্রজের তুঙ্গবিদ্যা সখী। কার্ত্তিক শুক্লা নবমী তাঁর তিরোধান তিথি।