Nabadwip Dham Parikrma
চতুর্থ দিনের পরিক্রমা
৫ মার্চ ২০২৩
(জহুদ্বীপ ও মোদদ্রুমদ্বীপ পরিক্রমা )
চতুর্থ দিনের পরিক্রমায় যাত্রীগণ সহ পনঃ গঙ্গা খেয়াঘাট পেরিয়ে প্রথমে কোলদ্বীপের অন্তর্গত মহাপ্রভুর মন্দিরে যাওয়া হয়।
শ্রীমহাপ্রভুর মন্দির— এইস্থানে স্বয়ং বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর সেবিত শ্রীমন্মহাপ্রভুর বিগ্রহ সাক্ষাৎ বিদ্যমান। প্রায় ৫০০ বছরের পুরানো শ্রীবিগ্রহ। শ্রীমন্মহাপ্রভুর পাদপদ্মের খরম (পাদুকা) ভক্তগণের দর্শনের উপলব্ধ। এটি কোলদ্বীপের অন্তর্গত।
শ্রীজহুদ্বীপ—এইস্থানে আজও কিছু বনাঞ্চল দেখা যায়। জহ্নুমুনি এইস্থানে তপস্যা করেছিলেন। গঙ্গা এই স্থানে প্রবাহিত হয়ে জহ্নুমুনির পূজার উপকরণ ভাসিয়ে নিয়ে যান ফলে ক্রোবে মুনি গণ্ডূষে গঙ্গাজল পান করেন। ভগীরথের অনুরোধে জানু কেটে গঙ্গাকে বের করেন বলে গঙ্গার অপর নাম “জাহ্নবী’ হয়। জহুমুনির তপস্যার ফলহেতু এইস্থানের নাম অনুদ্বীপ। এটি বন্দন’ ভক্তির পীঠস্থান।
শ্রীমোদদ্রুমদ্বীপ —বর্তমান এইস্থানের নাম মামগাছি। প্রভু শ্রীরামচন্দ্র ত্রেতা যুগে ১৪ বছর বনবাসকালে সীতা ও লক্ষ্ম ণ সহ এস্থানে এসেছিলেন। সীতাদেবীর কাছে প্রভু কলিযুগের অবতারের কথা বলতে গিয়ে আনন্দে হাস্য করেছিলেন। একটি বৃক্ষতলে হয়েছিল বলে এই দ্বীপটির নাম মোদদ্রুমরীপ। এই দ্বীপটি “দাস্য” ভক্তির পীঠস্থান।
সারঙ্গমুরারী ঠাকুরের শ্রীপার্ট– এইস্থানে শ্রীমন্মহাপ্রভুর পার্ষদ সারঙ্গমুরারী ঠাকুরের শ্রীপাট। তাঁর সেবিত শ্রীগোপীনাথ বিগ্রহ আজও বিরাজমান। গৌড়ীয় মিশনের পূর্বতন আচার্য শ্রীল ভক্তিপ্রসাদ পুরী গোস্বামী ঠাকুর কিছুদিন এইস্থানে বাস করেছিলেন। তাঁর সেবিত শ্রীগৌরনিত্যানন্দ বিগ্রহ এবং শ্রীমন্মহাপ্রভুর অন্যতম পার্ষদ শ্রীমুকুন্দ দত্ত ঠাকুর সেবিত শ্রীমদনগোপাল জীউর মনোরম শ্রীবিগ্রহ দর্শন ও আরতি করা হয়।
শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের শ্রীপাট— শ্রীল সারঙ্গমুরারী ঠাকুরের শ্রীপাটের অনতিদুরে ব্যাসাবতার শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের আবির্ভাবস্থলী। শ্রীবাস পণ্ডিতের স্ত্রী মালিনী দেবীর পিত্রালয় এইস্থানে।