মহালক্ষ্মী পূজা বা কালীপূজা (প্রদোষে শ্রীবিষ্ণু মন্দিরাদিতে দীপদান উৎসব)
31-10-2024
দীপাবলির মাহাত্ম্য (THE STORY BEHIND “DIWALI”) :
রাজা দশরথ ছিলেন ধনী ও সমৃদ্ধিশালী শহর অযোধ্যার শাসক। তার তিন স্ত্রী ছিলেন, এবং তাদের মধ্যে কৈকেয়ী ছিলেন তার প্রিয়তমা। এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে কৈকেয়ী দশরথের জীবন বাঁচান, এবং সেই কৃতজ্ঞতায় রাজা তাকে দুটি বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
দশরথের চার পুত্রের মধ্যে রাম ছিলেন জ্যেষ্ঠ ও সবার প্রিয়। তিনি সুন্দরী ও ভক্তিমতী সীতা দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যখন রামের রাজ্যাভিষেকের আয়োজন হচ্ছিল, তখন কৈকেয়ী দশরথকে তার বরদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি তার পুত্র ভারতকে রাজা করার জন্য এবং রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে পাঠানোর দাবি করেন। দশরথ তার প্রতিশ্রুতির প্রতি অনুগত থেকে কৈকেয়ীর ইচ্ছা পূরণ করেন।
বৃদ্ধ রাজা দশরথ এই ঘটনার পর ভগ্ন হৃদয়ে মারা যান। বনবাসকালে রাক্ষস রাজা রাবণ সীতাকে হরণ করেন। রাম, তার বিশ্বস্ত বন্ধু হনুমান ও বানর সেনার সাহায্যে সীতাকে উদ্ধার করেন এবং রাবণকে পরাজিত করেন। চৌদ্দ বছরের বনবাস শেষে, রাম ও সীতা অযোধ্যায় ফিরে আসেন।
তাদের এই বিজয় এবং প্রত্যাবর্তনের সম্মানে “দীপাবলি” উদযাপন করা হয়, যা মন্দের উপর সৎ শক্তির জয়ের প্রতীক। আজকের দিনে, দীপাবলি উপলক্ষে ভারতের প্রতিটি দোকান ও বাড়ি আলোকসজ্জায় সজ্জিত থাকে। অনেকেই বাড়ির সামনে রঙোলি আঁকেন এবং উৎসবের আমেজে মেতে ওঠেন। মানুষ নতুন পোশাক ও সামগ্রী কেনেন এবং ঘর সাজান। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের মিষ্টি বিতরণ করেন এবং সারাদিন আনন্দে কাটান। সীতা ও রামের বিজয় ও প্রত্যাবর্তনের এই মহোৎসব সকলের মন ভরিয়ে তোলে।